বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর রাঙ্গামাটি।
সাজেক ভ্যালি
সাজেক ভ্যালির মূল আকর্ষণ উঁচু-নিচু পাহাড় আর মেঘ। একটি থেকে আরেকটি পাহাড়ের মাঝে যেন আটকে আছে সাদা মেঘের ভেলা। সেখানে রিসোর্টের বারান্দায় বসেই মেঘ-পাহাড়ের মিতালী দেখার সুযোগ মেলে।
সাজেকের পাহাড় চূড়া থেকে পুরো রাঙামাটির চারপাশ দেখা যায় বলে একে রাঙামাটির ছাদও বলেন অনেকে। সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া কংলাক থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার জন্য পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের সবচেয়ে দর্শনীয় কয়েকটি স্থান।
কাপ্তাই লেক
কর্ণফুলী নদীর প্রবাহে নির্মিত এই লেককে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এছাড়া এ লেকের স্বচ্ছ পানিতে নৌকা নিয়ে ভাসতে ভাসতে বহুদূর পর্যন্ত চলে যাওয়া যায়। দু'পাশে পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা এ লেকে দল বেঁধে নৌ বিহার কিংবা প্যাডেল বোটে চড়ে ভ্রমণ করার সুযোগও রয়েছে।
শুভলং ঝর্ণা
শুভলং ঝর্ণার কাছেই রয়েছে প্রায় ২০০০ ফুট উঁচু শুভলং পাহাড়। যার চূড়ায় রয়েছে একটি টিএন্ডটি টাওয়ার। পাহাড়ে ওঠার জন্য রয়েছে একটি সিঁড়ি। শুভলং পাহাড়ের উপর থেকে দেখলে মনে হয় সমস্ত রাঙামাটি জেলা কাপ্তাই লেকের পানির উপর ভেসে আছে।
রাজবন বিহার
১৯৭৬ সালে রাজবন বিহার প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের রাজবাড়ির পাশেই এর অবস্থান। ৩৩ দশমিক ৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত বিহার এলাকায় রয়েছে ৪টি মন্দির, ভিক্ষুদের ভাবনা কেন্দ্র,তাবতিংশ স্বর্গ। এছাড়াও আছে বিশ্রামের জন্য ঘর ও হাসপাতাল।
প্রতিবছর এ রাজবন বিহারে বৌদ্ধদের কঠিন চিবর দান অনুষ্ঠান হয়। সেখানে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে, যা দেশের আর কোন বৌদ্ধধর্মীয় অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি।
ঝুলন্ত সেতু
রাঙামাটির অন্যতম নিদর্শন ঝুলন্ত সেতু। কাপ্তাই হ্রদের উপর অবস্থিত এ সেতুটি বর্তমানে ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ হিসেবে পরিণত হয়েছে।
ঝুলন্ত সেতুতে দাঁড়ালেই চোখে পড়ে কাপ্তাই লেকের জলরাশি। দূরের উঁচু নিচু পাহাড়ের গায়ে বড় বড় সব গাছ। ঝুলন্ত সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩৩৫ ফুট, প্রস্ত ৮ ফুট। এর উভয় পাশে টানা তার দিয়ে ঘেরা।
❤️